কবি : আপনি আছেন কেমন ?
রুহুল মালত : এই আছি আরকি, আপনারা রাখছেন যেমন ?
কবি : আপনাদের ভালো রাখার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার
রু: মা : তাহলে আমার খবর নেয়ার আপনার কি দরকার ?
কবি : বাহ! আপনি তো বেশ কাব্যরসিক, কথা বলেন ছন্দে- ছন্দে!
রু: মা :আপনারা কি কবিতা যে লেখেন, কিছুই বুঝিনা ছাতা, থাকি দ্বন্দ্বে ,তাই নিজের কথা বলি ভালোমন্দে।
কবি : আমি লেখক, আপনাদের খবর নেওয়াই আমার কাজ।
রু: মা : আহ,বেশ বেশ, তা বলেন কি খবর জানতে চান ? সমস্যা হলো আমার লুঙ্গিটা ভিজা, শরীলে ঘাম, মোবাইলটা যে কোথায় রাখি!
কবি :আচ্ছা এই মোবাইল ফোনটা কি খুব দরকার?
কবি : আচ্ছা আপনাদের গরীবের চরের নাম নাকি বদল হয়ে হল আলাওল পুর। আপনারা সবাই কাব্যপ্রেমিক নাকি, আলাওল কে ছিলেন জানেন?
রু: মা :অতো বুঝনের কাম নাই,আগে আমার কথা শুনেন। গরীবেরচর নামটা কেমন গরীব গরীব লাগে;এখানের সব লোক তো গরীব না। নামেও গরীব কামেও গরীব হইতে হইবো এমন তো কথা নাই। যেমন গরীবের পোলার নামও রাজা মিয়া বাদশা মিয়া হইতে পারে।
কবি : কিন্ত পাশের এলাকা কোদালপুর,তারাতো নাম বদলায় নাই।
রু: মা : দেখেন কোদাল হল চাষার হাতিয়ার, খুব দরকারি। ভাতের সাথে যেমন তরকারি।
তাছাড়া পয়সাও’লা লোকও থাকে গরীবেরচরে। এ নামটা তাদের গায়ে লাগে, তাই এই নাম পরিবর্তন, ্আসলে সবাই নিজেরে বদলাতে চায়।
কবি : তাতে আপনাদের অবস্থার কোন বদল হল?
রু: মা :আমাগো অবস্তা হল পদ্মার হাতে, পদ্মার ভাঙ্গা-গড়ার হাতে আমাদের জীবন মরন। পদ্মার এককূল ভাঙ্গে আরেক কূলে চর জেগে উডে, আর গরীব মানুষগুলা পাখির মত উড়ে; উড়ে উড়ে নতুন চর আবাদ করে,বসতি গড়ে,আরেকটা জিনিস খেয়াল করেন,পদ্মার বুকে যত চর আছে সবই গরীবের চর,এর কোন বদল নাই,আমাগো ভাগ্যেরও কোন বদল নাই।
কবি: নদীতে কি মাছ মিলে ?
রু: মা: নদীর কথা কইতেছেন, মাঝে মাঝে কিছু ঝাটকা মিলে। মাছের গুষ্টি শেষ হইয়া আসতাছে, ভবিষ্যতে শুধু ভাঙ্গন আর চোবাবালি, দোয়া করেন খাস দিলে।
কবি: বেশ হতাশার কথা বললেন, তাছাড়া ঝাটকা ধরা তো আইনের চোখে আপরাধ।
রু: মা: আরে রাখেন ভাই আপনের নীতি কথা। সরকাররে পটেে ভাত, আর আমাগো পটেে হাত! তা হইবো ক্যা।আমরা বুঝি দশেরে প্রজা না!
No comments:
Post a Comment
Thank you very much for visit the site